২০০২ সালে “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি” মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে “বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়” নাম ধারণ করে। আইসিটি সেক্টরের কার্যক্রমকে তরান্বিত করতে ৩০ এপ্রিল ২০১১ খ্রি. তারিখে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ গঠন করে। ৪ ডিসেম্বর ২০১১ খ্রি. তারিখে এই বিভাগকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে উন্নীত করে। তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নের গতি আরও বেগবান ও সমন্বিত করার লক্ষ্যে সরকার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ খ্রি. তারিখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে একীভূত করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করে, তার অধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গঠন করে । পরিবর্তনশীল আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে আগ্রহী বাংলাদেশ সরকার এবং উচ্চ নীতি-নির্ধারণকারীরা আইসিটির গুরুত্বকে অনুধাবন করেই দেশের এই পরিবর্তনে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। এই পরিবর্তন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কার্যক্রমে নতুন উদ্দীপনা যোগ করেছে।
প্রধান কার্যাবলি: ১. জাতীয় অভীষ্ট্য ও পরিকল্পনা অনুসরণপূর্বক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সংক্রান্ত নীতিগত বিষয় বাস্তবায়ন; ২. ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স এবং আইসিটি সংক্রান্ত অন্যান্য জাতীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন’ ৩. আইসিটি বিষয়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন; ৪. আইসিটি সার্ভে, গবেষণা, ডিজাইন ও উন্নয়নের নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং সহযোগিতা প্রদান; ৫. আইসিটি সেবাসমূহের বাণিজ্যিকীকরণ ও জনগণের নিকট সহজপ্রাপ্যকরণের নিমিত্ত গাইডলাইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ করা; ৬. আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন সংক্রান্ত চলমান কার্যক্রমে বাংলাদেশকে সম্পৃক্তকরণের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা; ৭. এ বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কিত বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সাথে লিয়াঁজো এবং অন্যান্য দেশ ও বিশ্ব সংস্থাসমুহের সাথে চুক্তি ও সমঝোতাসংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্বপালন; ৮. আইসিটি বিভাগের জন্য আইন, নীতিমালা, কৌশল ইত্যাদি প্রণয়ন; ৯. আইসিটি প্রমোশন এবং জনগণের দোরগোড়ায় আইসিটি সেবা পৌছানোর নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; ১০. ই-গভর্নমেন্ট, ই-ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ই-হেলথ, ই-কমার্স এবং অনুরূপ যে কোনো বিষয়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগকে সহায়তা প্রদান; এবং ১১. ডিজিটাল বিভাজন হ্রাসকরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ। |