কনটেন্টটি শেষ হাল-নাগাদ করা হয়েছে: বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫ এ ০১:৩১ AM

ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার (এনডিসি) এবং এনডিসি'র ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টারের সম্প্রসারণের ঘোষণা।

প্রকাশের তারিখ: ২০-০৮-২০২৫

যশোর, বুধবার ২০ আগষ্ট ২০২৫ 

আজ যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার বা এনডিসি'র ডিজাস্টার রিকোভারি ডেটা সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং অপারেশন কার্যক্রম রিভিউ করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। পাশাপাশি সেখানে নতুন ডেটা সেন্টারের নকশা, সাইট পরিদর্শন শেষে প্রস্তাবিত এবং বিদ্যমান ফেসিলিটি সমূহের সার্বিক মান উন্নয়ন, এবং অপারেশনাল এক্সিলেন্স ইত্যাদি বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই ন্যাশনাল ডেটা  সেন্টার (এনডিসি) এবং ডিজিটাল রিকভারি ডেটা  সেন্টারের সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।  

পরিদর্শনকালে তিনি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের কর্মকর্তাদের বলেন, পার্কের অব্যবহৃত ফ্যাসিলিটিতে যশোরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে হ্যাকাথন,আইডিয়াথন, স্টার্টআপ ডেভেলপমেন্ট  প্রোগ্রাম, সহ নিয়মিত  বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করে স্টার্টআপ এর ইকোসিস্টেম পাইপলাইন তৈরি করতে হবে। এর বাইরে সাইবার নিরাপত্তা, ডিজিটাল ভেরিফিকেশন, সাইবার লিটারেসি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত সেমিনারের আয়োজন করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। যশোর জেলা প্রশাসক মো আজাহারুল ইসলাম বিষয়টি সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান করবেন বলে সম্মতি প্রদান করেছেন। এ সময় তিনি স্থাপনা গুলো নিরাপত্তা বিষয়ে যশোরের এসপি রওনক জাহানের  সাথে আলাপ করেন। 

এরপর তিনি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে সেবা ডট এক্সওয়াইজেড এবং  চালডাল ডট কম এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

পরবর্তীতে যশোর সার্কিট হাউসে যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন। বিনিয়োগকারীরা ভাড়া কমানোর দাবী তুললে ফয়েজ তৈয়ব বলেন, ইতোমধ্যে কমিটি করা হয়েছে। অতীতে বৈষম্যপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে রাজশাহী সফটওয়্যার পার্কে  কম ভাড়া দেখানো হয়েছে বলে সেটাকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরলে হবেনা। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ এবং কর্মসংস্থানের পাইপ লাইন  বিবেচনায় ভাড়ার ক্ষেত্রে যৌক্তিক ডিসকাউন্ট দেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। শর্ত হিসেবে তার আগে বকেয়া ভাড়া এবং বকেয়া ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে বলেন তিনি। 

ফয়েজ বলেন বিগত সরকারের রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত  রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না করেই অর্থ লুটপাট করে  পালিয়ে গেছে, এতে সরকার এবং বিনিয়োগকারীরা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিষয়টি সমাধানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। মতবিনিময় সভায় 
সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের অন্তত ৪০টি প্রকৃত  বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিজনেস কন্টিনিউটি সুরক্ষার ব্যাপারে আলোচনা হয়।  

পরিদর্শন এবং মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের এমডি এ কে এম আমিরুল ইসলাম,  যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার র‌ওনক জাহান, ডেটা সেন্টার কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন ই কমার্স প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।


স্বাক্ষরিত
মুহম্মদ জসীম উদ্দিন 
জনসংযোগ কর্মকর্তা 
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় 
০১৫৫০১৫৩২৫১

এক্সেসিবিলিটি

স্ক্রিন রিডার ডাউনলোড করুন